নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার : লন্ডনের রেডব্রিজ কাউন্সিলের সেভেন কিংস এর কাউন্সিলর হিসেবে লেবার পার্টি থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন পুষ্পিতা গুপ্তা। প্রাক্তন কাউন্সিলর স্টুয়ার্ট বেলউডের মৃত্যুর পর সেখানে গত ৬ মে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী হয়ে পুষ্পিতা স্টুয়ার্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অত্যন্ত পরিশ্রমী কাউন্সিলর ছিলেন বেলউড।
পুষ্পিতা গুপ্ত সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট, যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বহুমুখী কর্মকান্ডে নিয়োজিত। নিজ পেশার পাশাপাশি নিয়মিত সমাজসেবা ও মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন পুষ্পিতা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য কাজ করেন তিনি। সেখানকার একটি স্কুলের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। যেখানে কাজ করতে গিয়ে পুষ্পিতা সমাজে শিশুরা সমাজ ও পরিবারে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা বেশ গভীরভাবে উপলব্ধি করছেন। এই কাজে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন যে, কীভাবে পরামর্শের মাধ্যমে পরিবারে পিতা-মাতাদের অনেক সমস্যা সমাধান সম্ভব।
সমাজের একজন সদস্য হিসেবে, সেভেন কিংসে পরিবর্তনের ধারা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আশা পোষণ করে তিনি বলেন, আমি বাংলা, হিন্দি, উর্দু ভাষা আয়ত্ব করেছি। ফলে নানান ভাষাভাষীর মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হবো।
প্রথম দিকের করোনা মহামারীর লকডাউনে পুষ্পিতা কিংস জর্জ হাসপাতালের কর্মীদের জন্য খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করেছেন। তিনি রেডব্রিজ কাউন্সিলের দাতব্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গৃহহীন ও অভাবী লোকদের জন্য সপ্তাহে ১০০ জনকে গরম খাবার নিজ হাতে প্রস্তুত ও বিতরণ করেন। পাশাপাশি ইলফোর্ড নর্থ শহরের হেইনল্ট ব্রাঞ্চ এ্যন্ড চেয়ার অব হেইনল্ট পুলিশ ওয়ার্ডে পুষ্পিতা গুপ্তা একজন নারী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করছেন, যা থেকে তিনি স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার গুরুত্ব উপলব্ধি করছেন।
একজন সমাজকর্মী হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তিনি সমাজের সম্প্রদায় এবং প্রতিনিধিদের মাঝে সমন্বয় সাধনসহ অপরাধমূলক ও সমাজবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড নির্মুলের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পূর্ব লন্ডন এবং রেডব্রিজের প্রতিটি নির্বাচনেই তিনি লেবার পার্টির হয়ে কাজ করেছেন। তার অর্জিত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান সেভেন কিংসের লোকদের জীবনমানের উন্নতি ভূমিকা রাখবে বলেই প্রত্যাশা করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
পুষ্পিতা গুপ্তের জন্ম মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার করিমপুর চা বাগানে। তিনি দু’কন্যার জননী ও স্বামী জ্ঞান দাস প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে। স্বামীর বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাল্লা জগন্নাথপুর গ্রামে। বাংলাদেশে ও মানবাধিকার ও দরিদ্রদের সাহায্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পুষ্পিতা।
সান নিউজ/কেটি