নিজস্ব প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাদামবাড়ি (দাড়িয়াবস্তী) গ্রামে ফিরোজা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের অভিযোগ তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে তার সৎ ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী ইসরাইল ও সৎছেলে সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নিহত-ফিরোজা বেগম বাদামবাড়ি গ্রামের মো. ইসরাইল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং একই উপজেলার মহিষমারী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে।
স্বজনরা জানায়,বাদামবাড়ি গ্রামের ইসরাইল হকের স্ত্রী মারা গেলে ২০০৭ সালে তিনি ফিরোজা বেগমকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। এ নিয়ে তাদের প্রথম পক্ষের ছেলে সোহেলসহ অন্যান্যরা সেটি মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে পিতাপুত্রের মাঝে বিরোধ চলছিল।
এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে ফিরোজা বেগম নিখোঁজ হয়। তাকে পরদিন বাড়ির পাশে একটি আমগাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু নিহতের ২ পা মাটিতে এমনভাবে ছড়িয়ে ছিলো যেন তিনি মাটিতে বসে আছেন। এতে এ মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসী ও পরিবার পরিজনদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে নিহতের স্বামী ইসরাইল হক ও সৎ ছেলে সোহেলকে আটক করেছেন।সোহেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এ বিষয়ে নিহত ফিরোজা বেগমের মা ফেন্সি বেগম অভিযোগ করে বলেন , আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমগাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাসিবুল হক প্রধান জানান,ফিরোজা বেগমের মৃত্যুটি রহস্যজনক। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/আরএস