নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোটের সঙ্গে বালুভর্তি বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে খুলনার ৫ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ মে) সকাল ৯ টায় খুলনার তেরখাদার পারোখালী ফাঁকা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় গ্রামের সর্বস্তরের শোকাহত মানুষের ঢল নামে।
সদর ইউনিয়নের তেরখাদা গ্রামের মনির শিকদার, তার স্ত্রী হেনা বেগম ও তাদের দুই কণ্যা শিশু সুমী ও রুমীর জানাজা সম্পন্ন হয়। পরে মনির শিকদারের মা লাইলী বেগমের কবরের পাশেই তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (০৩ মে) ভোরে সেহরী খেয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১১ মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের দোকানদার মনির শিকদার তেরখাদা সদর ইউনিয়নের পারোখালী গ্রামের বাড়িতে পরম মমতাময়ী মাকে শেষবারের মতো দেখতে তিন কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু মাকে শেষবারের মতো আর দেখা হলো না, নিজেই সপরিবারে চলে গেলেন মায়ের সাথেই। পদ্মা নদীতে বালু ভর্তি বাল্কহেডের সাথে যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সংঘর্ষে স্ত্রী হেনা বেগম, কন্যা সুমি খাতুন (৭), রুমি খাতুন (৪) ও মনির শিকদার নিহত হন। প্রাণে বেঁচে আছে শুধু তাদের ৯ বছর বয়সী মেয়ে মীম খাতুন।
মীম খাতুন বলেন, কাপড়ের ব্যাগ ধরে ভেসে পদ্মার কূলে ফিরতে পেরেছে সে। তবে মা-বাবাকে খুব বেশি মনে পড়ছে। মা, আব্বা তোমরা আমাকে কেনো নিয়ে গেলে না...? বিলাপ করতে করতে অঝোর নয়নে কাঁদছে পরিবারের একমাত্র জীবন্ত প্রদীপ মীম খাতুন।
সান নিউজ/বিএস