নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান : বান্দরবানে রাবার ড্যাম প্রকল্প নির্মাণ কাজে অনিয়ম নিয়ে শ্রমিক-স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শ্রমিকসহ ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (৩ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার সূয়ালক ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) অর্থায়নে ১১ কোটি প্রায় ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে রাবার ড্যাম্প নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার আহবান করা হয়। দুবছর মেয়াদি উন্নয়ন কাজটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ পায় যৌথভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম কে এন্ড এসই লাইসেন্স।
এদিকে, কৃষির উন্নয়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পটিতে অনিয়মের অভিযোগ তোলে কাজটি বাস্তবায়নে বাধা দেন স্থানীয়রা। বাধা দেয়ার পরও কাজটি চলমান রাখায় নির্মাণ শ্রমিকের সাথে স্থানীয়দের বাকবিতণ্ডা এবং মারধরের ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতা স্কেভেটর এবং শ্রমিকদের ঘর ভাঙচুর করে। এতে শ্রমিকসহ ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন- প্রকল্পের সাইট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন, স্কেভেটর চালক নূর হোসেন, মাহমুদুল হোসেন, সুমন, সুলতান, স্থানীয় কৃষক মো. ইউসুফ, শাকিল, আবু তাহের, শফি আলম। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দার কৃষক আব্দুচ সাত্তার বলেন, কাজের গুনগত মান খারাপ হওয়ায় স্থানীয়রা কাজটি বন্ধ রাখতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরা স্কেভেটর দিয়ে একজন কৃষককে আঘাত করে। এতে উত্তেজিত জনতা স্কেভেটর ভাঙচুর এবং শ্রমিকের ঘর ভাঙচুর করে।
প্রকল্পের সাইট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের পর নির্মাণ শ্রমিকদের গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। সামাজিকভাবে স্থানীয়দের সাথে বৈঠকও হয়েছে। তারপরও কাজে বাঁধা দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সদর থানার পুলিশ অফিসার এসআই মিঠুন সিংহ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। দুপক্ষের আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএনডিসি) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আবু নাঈম জানান, কাজে অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয়দের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আপাতত কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এমএ/কেটি