সনজিত কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বাণিজ্যিকভাবে অসময়ের কাটিমন আম বাগান গড়ে উঠেছে। আম বাগান মুকুল আর পাঁকা-কাঁচা আমে ভরে গেছে। কাটিমন পাঁকা ও কাঁচা আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাজারে। কাটিমন আম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। ১৩ বছর আগে সর্ব প্রথম চুয়াডাঙ্গার জীবনগরে কাটিমন আম বাগান গড়ে উঠে। বছরে তিন বার কাটিমন আম পাওয়া যায়। চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠছে কাটিমন আম বাগান।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাঁকা গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান, আমার বন্ধু ২০০৮ সালে থাইল্যান্ড থেকে কাটিমন আম গাছের ডাল নিয়ে আসেন। এরপর কলম পদ্ধিতিতে এ কাটিমন গাছের চারা তৈরির কাজ করি। ২০১৫ সালে সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে কাটিমন আম বাগান তৈরি শুরু করি। পরে বাণিজ্যিকভাবে সাড়ে ২৮ বিঘা জমিতে জীবননগরে কাটিমন আম বাগান গড়ে উঠে। আম বাগানে প্রায় তিন হাজারের মত গাছ রয়েছে। বাগানে মুকুল আর থোকায় থোকায় ঝুলছে পাঁকা-কাঁচা আম। বছরে আশ্বিন, জৈষ্ঠ ও বৈশাখ মাসে কাটিমন বাজারে বিক্রি হয়।
তিনি আরো জানান, কাটিমন আম কাঁচা-পাঁকায় মিষ্টি। আর কাটিমন আম পাঁকলে গায়ের রং হালকা হলদে, ভিতরের রং টকটকে হলুদ, খেতে সুস্বাদু, মিষ্টি ও সুঘ্রাণ। বছরে বিঘায় বাগান পরিচর্যায় খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা মত। বাগান ও আম ভাল রাখার জন্য সেচ, কীটনাশক ও পরিচর্যা করতে হয় নিয়মিত। একটি গাছ থেকে ২০-২৫ কেজি আম পাওয়া যায়। প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা করে। এ আমের চাহিদা রয়েছে ঢাকা, সাভার, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
গাছ পরিচর্যাকর্মী মোশারেফ জানান, কাটিমন আম কাঁচা দেখতে সবুজ পাঁকলে মিষ্টি ও সুস্বাধু। গাছ লাগানোর দেড় বছর পর থেকে গাছে আম ধরতে শুরু করে।
জেলা প্রশিক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, জীবননগরে একজন চাষি কাটিমন আম বাগান গড়ে তুলেছেন। অসময়ের ফল হওয়ার দাম অনেক বেশি। তাকে প্রযুক্তি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। এ আম দিয়ে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে।
কাটিমন আম বাগানে বছরে ৩ হাজার গাছ থেকে ৪০ হাজার কেজির বেশি আম পাওয়া যায়। অসময়ের আম হওয়ায় ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সান নিউজ/কেটি