নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : করোনাভাইরাসের প্রকোপের মাঝে আখাউড়া বন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন ৩৭ জন। ভারতের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বিধায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলার সীমান্ত দিয়ে বর্তমানে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু দুই দেশেই আটকা পড়া নাগরিকদের কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করে যাতায়াত করতে দেয়া হচ্ছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে গত তিন দিনে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত দুই দেশের ৭১ জন যাত্রী পারাপার হয়েছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন অফিস থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে এসে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিক ও বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য ভারতের বিভিন্নস্থানে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অনুমতি লাগবে।
এরই অংশ হিসেবে গত তিন দিনে ভারতীয় হাইকমিশন, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকার ৬৩ জনের মধ্যে ৩৪ জন ভারতীয় নাগরিক ফিরে গেছেন। আর ভারতে আটকা পড়া ৩৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
আখাউড়া ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘স্থলবন্দর দিয়ে পারাপারের জন্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ভারতীয় নাগরিকদের একটি তালিকা আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। সে তালিকা অনুযায়ী ভারতীয় যাত্রীরা তাদের নিজ দেশে ফেরত যেতে পারছেন। একইভাবে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশিরা সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার থেকে ছাড়পত্র সংগ্রহ করে স্থলবন্দর দিয়ে ফিরতে পারবেন’।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফারহানা আক্তার বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসা যাত্রীদের সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা অ্যান্টিজেন বা আরটি পিসিআরে করা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আছে কিনা তা দেখা হয়’।
তিনি আরও বলেন, করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলে তাদেরকে আখাউড়ায় তিনদিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। যাদের করোনার নেগেটিভ সনদ রয়েছে ও করোনা টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন, তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়।
এছাড়াও যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা, ঠান্ডা, কাশি ও এলার্জিজনিত বিষয়গুলো আছে কিনা তা যাচাই করে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/এনআই/কেটি