নিজস্ব প্রতিনিধি,পাবনা: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাবনার সাঁথিয়ায় এক বৃদ্ধ ও ঈশ্বরদীতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মৃত কফিল মোল্লার ছেলে নুরুন্নবী (৭০) ও ঈশ্বরদীর বাঘঈল পূর্বপাড়া গ্রামের দুলাল গাজীর স্ত্রী ফরিদা পারভীন পপি (৪৫)।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ও বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তারা মারা যান।
সাঁথিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ জানান, সোনাগ্রামের বৃদ্ধ নুরুন্নবী গত কয়েকদিন আগে ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনা পজিটিভ আসে। শ্বাস কষ্ট ও অন্যান্য জটিলতা না থাকায় সোমবার রোগীর পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে আকস্মিকভাবে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনি মারা জান। বুধবার সকালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়েছে। মৃতব্যক্তির বাড়ি আগামী দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর চারটায় ঈশ্বরদীর বাঘঈল পূর্বপাড়া গ্রামের দুলাল গাজীর স্ত্রী ফরিদা পারভীন পপি মারা যান।
প্রতিবেশি রুবেল মল্লিক জানান, সম্প্রতি ফরিদা তার এক নিকট আত্মীয়র চিকিৎসা করাতে ঢাকা যান। গত ১৪ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে তিনি শরীরে জ্বর অনুভব করেন। করোনা পরীক্ষার পর তার রির্পোট পজিটিভ আসে। শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত সপ্তাহে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। বুধবার বাদ জোহর বাঘঈল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ঈশ্বরদীর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৃতব্যক্তির সংস্পর্শে আশা ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাবনায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৭২ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৫০ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫ জন। হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন আছেন ৫০৯ জন।
পাবনা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন কে এম আবু জাফর বলেন, আমরা এখনো এ বিষয়ে কোন রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পেলে জানাতে পারব।
সান নিউজ /আরএস