নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহে ৩০ বছর বয়সী এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই নারী ৫ মাসের অন্তস্বত্তা হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার ( ২৮ এপ্রিল) আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধষর্ণের অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাউগড়ার পূর্বপাড়া গ্রামে।
মঙ্গলবার ( ২৭এপ্রিল) সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগে হাবিল উদ্দিনকে (৪২) গ্রেফতার করেছে মেলান্দহ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক ঝাউগড়া পূর্বপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় মুদি দোকানদার।
গ্রেফতারকৃত হাবিল উদ্দিনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ধর্ষিতার মুখোমুখি করে পুলিশ। ধর্ষিতা হাবিল উদ্দিনকে শনাক্ত করেছেন।
পরে রাত ১১টায় মেলান্দহ থানায় ধর্ষিতার মা মালিহা বেগম বাদি হয়ে ধর্ষক হাবিল উদ্দিনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন বলে জানান ওসি মাঈনুল ইসলাম।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, মুদি দোকানদার হাবিল উদ্দিন বাক প্রতিবন্ধীকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে দোকানের অভ্যন্তরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কাউকে ঘটনা না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে হাবিল উদ্দিন আরো তিনদিন ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারী। যত দিন যায় অবস্থার অবনতি হলে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। মঙ্গলবার বিকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ৫ মাসের আন্ত:স্বত্ত্বা বলে নিশ্চিত করেছেন।
পাশবিক ঘটনায় জড়িত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ধর্ষণকারী হাবিল উদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। দাবি জানিয়েছেন নারী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন,সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জামালপুরের নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
ঝাউগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঞ্জু মনোয়ারা হেনা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সান নিউজ/আরএস