টি.আই সানি, শ্রীপুর (গাজীপুর) : মাচায় ঝুলছে তরমুজ। তা দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ মিয়ার খেতে। এই তরমুজের উপরিভাগ হলুদ। ভেতরে টকটকে লাল। স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু। উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী (ছাতির বাজার) গ্রামের হামিদ মিয়া এ তরমুজের চাষ করেছেন।
অল্প কিছু জমিতে কৃষক হামিদ মিয়া দ্বিতীয় বারের মতো হলদে রঙের তরমুজের চাষ করেছেন। ৫০ দিন আগে উপজেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করে এনে বীজ বপন করেন। এ পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, সার, বীজ, মাচা, সুতা ও জাল বাবদ তার খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকার। ১৫ দিন পরই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হয়। অসময়ে এই তরমুজ চাষ করে দুই মাসে প্রতি বিঘায় লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন হামিদ।
সরেজমিনে টেপিরবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং পদ্ধতিতে এ তরমুজ চাষ হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ তরমুজ। সবুজ পাতার মধ্যে যেদিকে চোখ গেছে, শুধু হলুদ তরমুজ ঝুলতে দেখা গেছে। কৃষক হামিদ ও তার দুই সহকর্মী তরমুজ গাছের পরিচর্যা করছিলেন।
কৃষক হামিদ বলেন, ‘গত বছর আমি কালো তরমুজ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এ বছর আমি ইউটিউব দেখে হলুদ তরমুজ চাষ করার উদ্যোগ নিই। কৃষি বিভাগ আমাকে সহযোগিতা করছেন। এ তরমুজের গায়ের রং হলুদ। ভেতরে লাল টকটকে। শিলাবৃষ্টি না হলে ও বৈরী আবহাওয়া না থাকলে অন্তত লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। তার মাচায় ঝুলে থাকা হলদে তরমুজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছে। বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে হলুদ জাতের তরমুজের চাষ। হলুদ তরমুজ চাষ করে শ্রীপুরে দ্বিতীয়বারের মতো সফল হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, বারোমাসি জাতের হলুদ জাতের তরমুজ চাষ করে তারা সফল। কম খরচে বেশি ফলন ও বাজারে চাহিদা থাকায় তাদের দেখাদেখি অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন।
সান নিউজ/কেটি