রেজাউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : আর কত প্রাণ যাবে কাঁকড়ায় কেউ জানে না। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আবারও কাঁকড়া প্রাণ নিল হেলপার শিশু লিটন মিয়ার (১১)।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২৬ এপ্রিল) উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের বটতলী দাখিল মাদরাসার সামনে। লিটন ওই গ্রামের কৃষক জাহেদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। এই নিয়ে উপজেলায় কাঁকড়ার চাপায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ জন।
জানা গেছে, সোমবার সকালে চালক ছবিয়াল মিয়া বেলকা খেয়াঘাট হতে কাকঁড়ায় বালু নিয়ে বটতলী মাদরাসার সামনে যায়। সেখানে বালু ঢেলে দিয়ে ফিরে আসার সময় কাঁকড়া গর্তে পড়ে উল্টে গেলে চাকার নিচে চাপা পড়ে হেলপার লিটন ঘটনাস্থলে মারা য়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ থানায় নিয়ে যায় এবং সুরুতহাল রিপোর্ট করে। এর আগে গত ৪ জানুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী কাকঁড়ার গতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাপ্ত বয়স্ক চালক ও হেলপার ছাড়া কাকড়া চালানো সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে ডিও লেটার দেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা হলেও আজ তার কোন প্রতিকার হয়নি। অবৈধ কাঁকড়ায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দিনের পর দিন মৃত্যুর সংখ্য বেড়েই চলছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, বালু ঢেলে দিয়ে ফিরে আসার সময় ঘটনাস্থলে গাড়ি উল্টে গিয়ে হেলপার লিটনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম জানান, কাঁকড়ার চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত লিটনের সুরুতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। এনিয়ে এখন থানায় মামলা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, দিনের বেলায় কাঁকড়া চালানোর জন্য নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও আদেশ অমান্য করে গাড়ি চালচ্ছে।
সান নিউজ/কেটি