নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি: বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হকের স্পিডবোটের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত নৌকার এক যাত্রী পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
নিহতের নাম শান্তিরঞ্জন চাকমা (৩৭)। তার বাড়ি সুবলং ইউনিয়নের শিলারধাক গ্রামে বলে জানা গেছে।
রোববার দুপুরে বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের সুবলং ঝর্ণার পাশে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে সুবলং ঝর্ণা এলাকা ও শিলারধাক গ্রাম পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলী। সেখান থেকে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত একটি ছোট নৌকার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্পিডবোটের ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় ও কাঁধে আঘাত লেগে পানিতে ডুবে মারা যান শান্তিরঞ্জন চাকমা।
প্রত্যক্ষদর্শী সুবলং ঝর্ণার পর্যটন কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থাপক নিরঞ্জয় চাকমা বলেন, নিহত শান্তিরঞ্জন চাকমা ও স্থানীয় বিমল চাকমা রোববার সুবলং থেকে ফিরছিলেন। ফেরারপথে ইউএনও’র স্পিডবোটের সঙ্গে তাদের ছোট নৌকাটির ধাক্কা লাগে। বিমল চাকমা পানিতে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেও শান্তিরঞ্জন চাকমা আঘাত পেয়ে পানিতে ডুবে মারা যান। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ডানদিকের কাঁধ ভেঙ্গে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল রোববার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জসিম উদ্দিন জানান-নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মনজুরুল হক বলেন, সুবলং ঝর্ণাটি সচল রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকালে সেখানে গিয়েছিলাম। ওখান থেকে ফেরার পথে এ দুঃখজনক ঘটনা ঘটলো। আমাদের স্পিডবোটেও ছিদ্র হয়েছে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় সেনাক্যাম্প কমান্ডার ও পুলিশের কাছ থেকে উদ্ধারকারী ডুবুরী দলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু তাদের ডুবুরি না থাকায় রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় বিকেলে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে মরদেহ উদ্ধারের জন্য স্থানীয় চেয়রম্যানের হাতে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। দাহ ক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে।
সান নিউজ/আরআই