বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুরে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও লালমী-বাঙ্গীর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষক প্রতিবছর রমজান মাসকে সামনে রেখে ব্যাপক আকারে এই লালমীর চাষ করে থাকে। সদরপুরের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বেলে মাটিতে এই লালমী চাষ করা হয়। ইফতারে লালমীর চাহিদা রয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে এবং দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে যানবাহন চলাচল খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার লালমী-বাঙ্গী চাষীরা।
সদরপুর মটুকচরের লালমী চাষী রাজিব বেপারী জানান, লকডাউন এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মাথায় লোকসানের বোঝা বাড়তে থাকবে। প্রতি বছরের ন্যায় রমজান মাসকে সামনে রেখে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে চাষিরা ঋণ করে হলেও ব্যাপক হারে লালমি-বাঙ্গীর চাষাবাদ করে থাকে।
সদরপুরে উৎপাদিত লালমী-বাঙ্গী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার রপ্তানি হয়ে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ভাল ফলন হলেও দাম না থাকায় এবং পরিবহন না থাকায় আমাদের মুখে হাসি নেই। এক বিঘা জমিতে লালমী-বাঙ্গী চাষ করতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। এখন খরচ উঠাতে হিমশিম খাচ্ছি।
সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের ক্ষেত ভরে আছে লালমি-বাঙ্গি কিন্তু ক্রেতার অভাবে তা ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ার এবং পাইকাররা না আসার ফলে লালমী নিয়ে বিপাকে পড়েছে চাষিরা। বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে লালমী নিয়ে বিক্রেতারা বসে আছেন, ক্রেতা নেই।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হোসনেয়ারা খাতুন জানান, লালমী-বাঙ্গী চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের থেকে সকল প্রকার পরামর্শসহ কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়েছে। চলতি বছর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে ৪৫০ হেক্টর জমিতে লালমী ও বাঙ্গীর চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২৬০ হেক্টর কম।
সান নিউজ/আরএস