নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: সাবেক স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক সবুজ (৪৫) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ রোববার ভোর রাতে শহরের বারান্দীপাড়া ঢাকা রোডের হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আজিজুল হক সবুজের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। আজিজুলের আগেও তিনটি বিয়ে ছিল। চাকরির সুবাদে আজিজ কর্মস্থলে থাকতেন। মাঝে মাঝে যশোরে বাদীর বসতবাড়িতে আসতেন এবং তারা অন্য দম্পতিদের মতো বসবাস করতেন।
ওই নারী বলেন, ‘আজিজুল ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরায় আরেক মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আমাকে তালাক দেয়। এরপর গত শুক্রবার রাত একটার দিকে আজিজ আমার ঘরের দরজায় নক করে। আমি দরজা খোলামাত্র তিনি ঘরে ঢুকেই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই সময় তিনি আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে আজিজ ওয়াশরুমে ঢুকলে আমি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেই। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
এরপর এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এই নারী।
জনা যায়, আজিজুল হক সবুজ পুলিশের এসআই পদে কর্মরত। তিনি ঢাকা এপিবিএন থেকে সদ্য পুলিশের খুলনা রেঞ্জে বদলি হয়েছেন। আজিজুল হক সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সুরুরিয়া গ্রামের মো. আনোয়ারুল হকের ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রাম।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের এসআই আজিজুল হক সবুজ শারীরিক সম্পর্ক করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক হলে সেটা আইনানুযায়ী ধর্ষণ বলে গণ্য হয়।
ওসি আরও বলেন, জরুরি সেবার ৯৯৯ নাম্বার থেকে খবর পেয়ে আমরা দুইজনকে থানায় নিয়ে আসি। কিন্তু ওই নারী মামলা করতে রাজি ছিলেন না। আপস করে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ আপসযোগ্য না। সেই কারণে মামলা হয়েছে। আজিজকে আদালতে হাজির করা হবে। ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার পরে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানো হবে।
সান নিউজ/আরএস