গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে চলছে লকডাউন। বন্ধ হয়ে গেছে দিন আনে দিন খায় শ্রেণির শ্রমিকের আয়। লকডাউনের জন্য যানবাহন বন্ধ থাকায় এসব নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ তাদের গন্তব্যে যেতে পারছে না। এতে কৃষি শ্রমিক, রিকশাচালক, ফুটপাত ব্যবসায়ীসহ অনেকের কাজ না থাকায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে এসব পরিবারের।
আর এইসব শ্রমজীবী মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে গত বছরের মতো এবারও ধান কাটাতে শ্রমিক পাঠাচ্ছে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নির্দেশে জেলা পুলিশের উদ্যোগে বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুর তিনটার সময় সাতটি বাসে বগুড়া, নওগা ও নাটোরের হাওরাঞ্চলে ২'শ ৫০ জন শ্রমিককে ধান কাটার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন গাইবান্ধা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ নূর-ই আলম সিদ্দিক।
ধান কাটতে যাওয়া কয়েকজন শ্রমিক জানান, "লকডাউনের কারণে হামার কাজ-কাম সব বন্ধ ছিল। বাড়িত এক বেলা খাওয়ার মতো চাউল নাই; রিক্সা ভ্যান চলায়া কামাই করমো; সে উপায়ও নাই। এই অবস্থাত পুলিশ হামার কামের ব্যবস্থা করচে, হামরা খুব খুশি"।
গাইবান্ধা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ নূর-ই আলম সিদ্দিক বলেন, লকডাউনে বিপাকে পড়া নিম্ন আয়ের এসব মানুষের মুখে একটু হাসি ফোঁটাতে পেরে ভালো লাগছে। আসন্ন ঈদে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে একজন কৃষক তার পরিবারের জন্য একমুঠো ভাল-মন্দ খাওয়ার আয়োজন করতে পারবে। শ্রমিক প্রেরণের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধান কাটার মোৗসুম শুরু হয়েছে। এ সময় অনেক ধান কাটা শ্রমিক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান কাটতে যায়। গত বছরও করোনার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের আমরা বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছি। এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের খাদ্য ও মাস্ক দিয়ে বাসের মাধ্যমে ধান কাটা এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য লকডাউনের শুরু থেকেই কৃষি শ্রমিকরা ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বিভিন্ন জেলায় কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পুলিশের হাতে আটক হলে বিষয়টি জানতে পেরে গতবারের মতো এবারও শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সান নিউজ/আরএস