নিজস্ব প্রতিবেদক, বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে তথ্য গোপন করে এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী একাধিকবার করোনার টেস্ট করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা নিবাসী অভিযুক্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে এই জরিমানা করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রাইম ব্যাংকের বোয়ালমারী শাখায় কর্মরত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান (৩৬) ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা (২৬) গত ৫ এপ্রিল বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টেস্ট করান। এর পরদিন জানা যায় তার স্ত্রী মিলা করোনা আক্রান্ত। কিন্তু হাফিজুর রহমানের টেস্টের ফলাফল ইনএকটিভ আসে। এরপর গত ৮ এপ্রিল মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা তাদের নাম পাল্টে যথাক্রমে রিপন খান ও নিলা বেগম নামে পুনরায় করোনার টেস্ট করান। ওই টেস্টে উভয়েরই করোনা শনাক্ত হয়। এরপর পরিচয় গোপন করে আবার ওই দম্পতি ২১ এপ্রিল নিজেদের প্রকৃত নামে অর্থাৎ মো. হাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী তাইয়েবা আক্তার মিলা নামে করোনা টেস্ট করান। এবারও তাদের করোনা পজিটিভ আসে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান গত কয়েক দিনে মো. হাফিজুর রহমান ও রিপন খানের মোবাইলে ৮/১০ বার ফোন দিয়ে করোনায় আক্রান্ত দম্পতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় যে হাফিজুর রহমান ও রিপন খান একই ব্যক্তি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তথ্য গোপনের বিষয়টি বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দকে অবহিত করলে তিনি শুক্রবার দুপুর একটার দিকে পৌরসভার আঁধারকোঠায় হাফিজুর রহমানের বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, তথ্য গোপন করে বারবার করোনা টেস্ট করায় মো. হাফিজুর রহমান নামের ওই ব্যক্তিকে রোগ সংক্রমণ (প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনের ২০১৮ এর ২৬ এর ২ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সান নিউজ/আরএস