নওগাঁ প্রতিনিধি:
করোনা উপসর্গ নিয়ে নওগাঁয় শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) মৃত এক ব্যক্তির মরদেহ দাফন করে বিপাকে পড়েছেন চার রোভার স্কাউট সদস্য। এরপর থেকে স্বজনরা তাদের বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না।
জানা যায়, ঐ দিন দুপুরে নওগাঁ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই মরদেহ তারা দাফন করেছিলেন। স্কাউট সদস্যরা হলেন, নওগাঁ শহরের মাস্টারপাড়া মহল্লার ফরিদুল ইসলাম, নিরব রহমান, মারুফ হোসেন ও সোহাগ।
স্কাউট সদস্য ফরিদের দাবি, জানাজা শেষে ঐ মরদেহ দাফনে ভয় পাচ্ছিলেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের লোকেরা। কবরস্থান এলাকায় মরদেহ রেখে তারা বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকি দাফনের সময়ও কাছে আসেননি তারা। এমন অবস্থায় তারা পরে নিজ দ্বায়িত্বে মরদেহটি দাফন করেন।
কিন্তু এসময় তারা শুধু মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে মরদেহ দাফন করেছিলেন। তাদের শরীরে সুরক্ষা পোশাক বা পিপিই ছিলো না। বিপত্তি বাধে সেখানেই!
পিপিই ছাড়াই মরদেহ দাফনের খবর মূহুর্তেই ছড়িয়ে পরে এলাকায়। বিকেলে স্কাউট সদস্যরা পরিবারে ফিরতে চাইলে পাড়ায় ঢুকতে বাধা দেয় এলাকাবাসী। এমনকি পরিবারের লোকজনও তাদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়। রাতে ওই চার জন একটি ঘরে রাত কাটান।
জেলা দাফন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ক্বারি মোয়াজ্জেম আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, দাফনের সময় ইসলামী ফাউন্ডেশনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। দাফনের দায়িত্ব তাদের থাকলেও স্কাউট সদস্যদের তারা সহযোগিতা করেছেন মাত্র। তবে পিপিই ছাড়া মরদেহ কবরে নামাতে দেওয়া ঠিক হয়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানান, ঘটনা জানার পর স্কাউট সদস্যদের নিরাপদে একটি ঘরে রাখা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য দাফন কমিটিকে আরো সতর্ক হতে বলা হয়েছে।