নিজস্ব প্রতিবেদক, চুয়াডাঙ্গাঃ চুয়াডাঙ্গায় এক কিশোরীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করায় কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কিশেরীর বাবা সাদেক আলী মল্লিক পাড়ার ১৩ কিশোরের নামে নারী শিশু, পর্নোগ্রাফি এবং চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় পুলিশ শহরের কেদারগঞ্জ পাড়ার মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে প্রধান আসামি জুবায়ের হোসেন জীমসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত ৮ মাস আগে জুবায়ের হোসেন জীমের সাথে পার্শ্ববর্তী এলাকার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৪) বন্ধুত্ব হয়।
এরপর গত ২৫ মার্চ দুপুরে বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর একটি বাড়িতে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জুবায়ের হোসেন জীম। এ সময় কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ওই আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে ছাত্রীর কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণলকার হাতিয়ে নেয়। আবারো ১৯ এপ্রিল জুবায়ের হোসেন জীম ও তার সহযোগীরা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীর নিকট আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে স্কুল ছাত্রী তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনাটি জানার পর স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে সোমাবার ১৯ এপ্রিল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযুক্ত জুবায়ের হোসেন জীমসহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে শহরের কেদারগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে প্রধান আসামি জুবায়ের হোসেন জীমসহ ৬ তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃত কিশোরীদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ মামলার অন্য আসামিদের আটকের জন্য অভিযান চলছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সান নিউজ /আরএস