নিজস্ব প্রতিনিধি, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : ‘এই গরিবের খবর লইছেননি ও মেম্বার সাইব' এই গান দিয়েই পরেশের পরিচয় গানের জগতে, এই গানই এখন পরেশের জীবন সায়াহ্নের কালের সাক্ষী।
কৃষক পরিবারে জন্ম নেবার পর থেকেই হাতে-কলমে অক্ষর শেখার বয়স শেষ হতে না হতেই জীবন সংগ্রামে নাম লেখায় পরেশ চন্দ্র রায়। হারমনি-তবলায় ও বাংলা ঢোলে, মঞ্চে উত্তরের গান গেয়ে হাজারো মানুষের ভক্ত হয়ে ওঠা মানুষটি আজ শুধুই বাঁচার জন্য হাহাকার। ৪৩ বছরের পরেশের শরীরে পেইনক্রিয়াসে পাথর ধরা পরেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দেশে এই রোগের চিকিৎসা থাকলেও ব্যয়বহুল ও ঝামেলার এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতই উত্তম । ভারতে যাবার জন্য ইতিমধ্যই পার্সপোর্টের কাজ করতে দিয়েছে। কিন্তু দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ভারতে চিকিৎসার টাকা কোথা থেকে পাবে?
পরেশের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামে। সংসার জীবনের শুরুতেই জমজ দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয় ও এভাবে পরপর তিনটি ছেলে সন্তান মারা যায়। এর কিছুদিন পর একটি মেয়ে সন্তান তাদের ঘরে জন্ম নেয়, মেয়েটি এখন কলেজে পড়ছে।
উলিপুর এনএসআমিন স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন পরেশ কিন্তু করোনায় এখন তাও বন্ধ।বাংলাদেশ বেতার রংপুরে ২০০৪ সাল থেকে ভাওয়াইয়া ও পল্লীগীতিতে এ-গ্রেডের শিল্পী হিসেবে কাজ করে আসছে পরেশ । গত এক বছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিধ্বস্ত জীবন। এখন দুই শতকের জমিতে একটি ঘরের ভেতরে বেঁচে থাকা পরেশের ঔষধের টাকা সংগ্রহ করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সান নিউজ/ আরএস