স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্টের জন্য এসেই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। পরীক্ষার জটিলতা, অব্যবস্থাপনা, সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বশীলদের দুর্ব্যবহার যেনো নিয়মে পরিণত হয়েছে জুড়ি হাসপাতালে। করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দেয়া থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত নাজেহাল হতে হয় মানুষকে। অনেক কাঠখর পুড়িয়ে যারা নমুনা দিতে পারছেন তাদের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এভাবেই চরম অব্যবস্থাপনায় চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা । রোগীদের ভোগান্তির যেনো শেষ নেই আর কেউ দেখারও নেই।
টেস্ট বিড়ম্বনার পাশাপাশি দক্ষ টেকনোলজিস্ট ও পারস্পারিক সমন্বয়হীনতার যথেস্ট অভাব রয়েছে। তাছাড়া টেস্টে আসা রোগীদের সঙ্গে টেকনোলজিস্টের অশোভ আচরণ দিন-দিন বেড়েই চলছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় করোনা টেস্টের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান রোকেয়া বেগম নামের এক পরিবার পরিকল্পনা সহকারী । তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় ২২৫ নং কক্ষে করোনা টেস্ট করাতে গেলে তার সাথে অশোভন আচরণ করেন ওই কক্ষে থাকা টেকনিশিয়ান আব্দুর রহমান।
ওই টেকনিশিয়ান তখন করোনা টেস্টের নমুনা না নিয়ে ফিরিয়ে দেন রোকেয়া বেগমকে এবং সাথে সাথে ওই কক্ষটি তালাবদ্ধ করে তিনি অন্যত্র চলে যান। সাথে সাথে বিষয়টি অবগত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডাঃ সমরজিৎ সিংহ মোবাইলে টেকনিশিয়ান আব্দুর রহমানকে অনুরোধ করলেও তিনি নিজ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চলে যান। তখন রোকেয়া বেগম বিষয়টির বিবরণ উল্লেখ করে ইউএইচও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
রোকেয়া বেগম বলেন, আমি একজন স্বাস্থ্যকর্মী হওয়া সত্বেও আমার সাথে যে ধরণের অশোভন আচরণ করা হলো তাহলে সাধারণ রোগীদের সাথে ওই টেকনিশিয়ান কিরূপ আচরণ করে তা সহজেই বুঝা যায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনিশিয়ান আব্দুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডাঃ সমরজিৎ সিংহ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আমি চাকরির বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
সান নিউজ/আরএস