নিজস্ব প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ : ২ বছর আগে স্বামীকে হারান। অনেক কষ্টে তিন মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। তবে দারিদ্র্যতা পিছু ছাড়েনি। অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিন চলছিলো তার। ১ বছর আগে অসুস্থ হয়ে পরে কোন রকম টাকা জোগাড় করে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গেলেও, টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি কঠিন রোগে ভূগছেন পেটের মধ্যে ঘাঁ হয়েছে। টাকার অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা ও ওষুধ কিনতে পারছেন না তারা বানু (৫৮)। তিনি বর্তমানে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার ক্ষিদ্রমাটিয়া দক্ষিণপাড়া (সোহাগপুর গরুর হাট সংলগ্ন) সরকারি জায়গায় একটা ঘর তুলে সেখানে বসবাস করছেন।
এলাকাবাসী জানান, গত ২ বছর আগে স্বামী আব্দুল হাই মারা জান। তিন মেয়ের মধ্যে বাকি এক মেয়েকে নিজেই বিয়ে দেন। হঠাৎ করে মেঝো মেয়ে মারা যান। ৫ বছরের এক নাতনীকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকম দিনপাত চলে। এ ছাড়া সরকারি তরফ থেকে বিধবা ভাতা টাকা দিয়ে কোন রকম চলে সংসার। গত দু মাস ধরে তারা বানু পেটের ব্যথায় ভুগছেন। তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারে না। বড় মেয়ে বর্তমানে দেখাশোনা করছেন। তবে টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছে না।
রোববার (১৮ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনের ঘরের মেঝেতে শুয়ে আছেন তারা বানু। তাঁর বড় মেয়ে ও নাতনি পাশে বসে আছেন। কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করলে তিনি কেবল মাথা নাড়েন। তারা বানুর বড় মেয়ে বলেন, আমার মাকে আমিই দেখাশেনা করছি। আমার স্বামী অটোরিকশা চালাই করোনার মধ্যে কোন কাজ কাম তেমন নেই। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। অনেক কষ্ট করে কিছু টাকা গুছিয়ে এনায়েতপুর হাসপালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়েছি। ১৫ দিন পর আবার যেতে বলেছে। ঔষধু ঠিক মত খাওয়াতে পারছি না টেহার অভাবে। প্রতিদিন ৩শত টেহার ঔষধ লাগে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন আমার স্বামী ৩/৪ শো টেহা কামাই করে। খাবার টেহাই জোগার করা কষ্ট হয়। একদিন খাইয়া আর একদিন না খাইয়া মার ঔষুধ কিনছি। এব্যাপারে সমাজের বিত্তবানদের কাছে তিনি সাহায্য প্রার্থনা করছেন।
তাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করুন তারা বানু এর মোবাইল নাম্বরে (০১৯১৬৬৫২১৬৭) ও আর্থিক সাহায্যের জন্য টাকা পাঠাতে পারেন তারা বানুর বড় মেয়ের স্বামী শহিদুল ইসলাম এর নাম্বরে ০১৯৩২৭৪৪০৩৪ (বিকাশ) প্যারসোনাল ।
সান নিউজ/আরএস