নিজস্ব প্রতিনিধি, নড়াইল : সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যা খুশি তাই করছেন নড়াইল ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই-৩) আনন্দ কুমার। করবেনই না বা কেনো তিনি যে পুলিশ তার জন্য আবার আইন কিসের ? তিনি নিজেই তো আইনের লোক যা করবেন তাই তো আইন !
জানাগেছে, আনন্দ কুমার তিনি নিজে যে সরকারি মোটরসাইকেলটি চড়ে বিভিন্নস্থানে গিয়ে অন্যের মোটরসাইকেল-যানবহনের কাগজপত্র আছে কি না তা যাচাই-বাছাই করে থাকেন সেই গাড়িটির নেই নম্বর প্লেট।
তাতে লেখা আছে নড়াইল-১৮ যা কোন মোটরসাইকেলের নম্বর হতে পারে না। এটি একটি সিরিয়াল নম্বর মাত্র। অথচ তিনি অন্যের গাড়ি ধরে জরিমানা বা মামলা দিচ্ছেন। কাউকে কাউকে আবার হুমকিও দিচ্ছেন ‘ফারদার যেন এভাবে গাড়ি চালাতে না দেখি বলে’। সম্প্রতি তিনি নড়াইলে এসেছেন এর পূর্বে তিনি যশোরে দায়িত্ব পালনকালেও বিভিন্ন বিতর্কের জন্মদিয়ে আলোচনায় আসেন।
নড়াইল ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার (টিআই-৩) এর বিরূদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিরীহ জনসাধারনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে তিনি আলিমুজ্জামান নামে এক মোটরসাইকেল চালককে পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকায় আটকে নাজেহাল করেন। গত ১৫ মার্চ শহরের রাইফেল ক্লাব সড়কে যশোর ট ১১-০৩৮৯ নং ট্রাক ঠেকিয়ে চালক সাগরের সাথে চরম দুর্ব্যবহারের এক পর্যায়ে শারীরিক নির্যাতন করেন।
সম্প্রতি তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএ বাকীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। সাবেক সদর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এসএ বাকীর সাথে খারাপ আচরণ করায় বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক পরিচয় দেয়ার পরও রূঢ় ভাষায় কথা বলায় শিক্ষক সমাজে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক কেউই তার কাছে রেহাই পাচ্ছেন না। সড়কে যান নিয়ন্ত্রণ ও কাগজপত্র দেখার নামে ভদ্র লোকজন দেখে দেখে খারাপ আচরণ করেন আর ক্ষমতার দাপট দেখান। কথায় কথায় বলেন তিনি পুলিশের অনেক বড় কর্মকর্তার আস্থাভাজন ব্যক্তি। নিকট আত্মীয় পুলিশের বড় কর্মকর্তা। পুলিশের চাকরি না করলেও কিছু আসে যায় না বলেও দম্ভ দেখান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ট্রাফিক পুলিশ জানান, নিজের ক্ষমতা জাহির করতে তিনি শুধু বাইরের লোক নয় পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচারণ করে থাকেন। তার অত্যাচার এবং অসৌজন্যমূলক আচারণে ক্ষুব্ধ তার অধীনস্তরা। তাদের অফিসার তাই তাদের কিছু করার নাই ।
এদিকে যশোরে দায়িত্ব পালন কালেও তিনি বিভিন্ন জনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করেছেন এমনকি একাধিক ব্যক্তি গায়েও হাত তোলেন। যশোরে দায়িত্ব পালনকালে এক ইজিবাইক চালককে মেরে কান ফাটিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
টিআই আনন্দ কুমারের সাথে যোগযোগ করলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারো সাথে কোনো কারণে খারাপ ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। কোন যানবাহনের চালক, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের সাথে তিনি কোন খারাপ ব্যবহার করেননি বলেও দাবি করেন তিনি।
সান নিউজ/আরএস