ঠাকুরগাঁও, প্রতিনিধি :ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা মহামারী সংক্রমণ রোধে সরকারিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হলেও হাটবাজারে সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। এমনকি মাস্ক ছাড়াই অনেককে চলাচল করতে দেখা গেছে । সরকারি নির্দেশনা এখানে চরমভাবে উপেক্ষিত হলেও দেখার কেউ নেই।
করোনা ভাইরাসে ২য় ঢেউ মোকাবেলায় সর্বাত্বক লকডাউনের ৩য় দিনে শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাট বসেছে । গরুর হাটসহ বসেছে সাপ্তাহিক হাট বাজার।
জেলার ঐতিহ্যবাহী এ হাটে যদিও অন্যান্য দিনের তুলনায় হাটুরের উপস্থিতি ছিল কম। তারপরও ক্রেতা বিক্রেতাদের অনেককে মাস্ক ছাড়া কেনাবেচা করতে গেছে। গরু হাটিসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার গুলোতেও ছিল সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভীড়।
সামাজিক দুরত্ব বলতে কোন কিছুর বালাই নেই এখানে । পশু হাটিতে একদিকে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই অন্যদিকে মাস্ক ব্যহারেও অনেকের অনীহা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
আনোয়ার হোসেন,দুলাল হক নামে কয়েকজন হাটুরে জানান,করোনা হচ্ছে বড়লোকের অসুখ। এটি এসি রুমে থাকা মানুষকে আক্রমণ করে।প্রখর রৌদ্রে খোলা আকাশের নীচে থাকা সাধারণ মানুষকে এটি আক্রমণ করে না। তাই মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা মনে করছি না।
সোহেল নামে একজন হাটুরে জানান, জেলা শহরে সর্বাত্মক লকডাউনে মটর সাইকেল নিয়ে চলাচল করা যায় না।রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশকে জবাব দিতে হয় কোথায় যারো এবং কেন বাড়ির বাইরে বের হয়েছি। অথচ এই হাটে লকডাউন বলতে কোন কিছু নেই।২/৪জন মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ লোকজনকে মাস্ক ছাড়াই বাজার করতে দেখা যাচ্ছে।আর পশু হাটিতে এমন ভীড় তাতে সামাজিক দূরত্ব কল্পনা মাত্র।
দুপুর ১১ টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাটে আসার খবর পেয়ে অনেক দোকানদারকে ঝাপ ফেলতে দেখা যায়। এতে ঝাপ নামানোর শব্দে অনেক হাটুরেকে এদিক ওদিক দৌড় ঝাপ করতে দেখা যায়।
জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন,গ্রাাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষদের অনেকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সরকারি নির্দেশনার বিষয়ে এখনও সচেতন নয়। তাদেরকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ কাজ করছেন।
সান নিউজ/আরএস