চট্টগ্রাম ব্যূরো : বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে মানুষের ভিড়ের সাথে থেমে থেমে চলছে ট্রাক, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর সাইকেল, রিক্সা ও সিএনজি চালিত অটো রিক্সাও।
গার্মেন্টস, ব্যাংক খোলা থাকাতে বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে নগরবাসীকে। কয়েকস্থানে ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশের তল্লাশী অভিযান চোখে পড়লেও অনেকটাই শিথিল ছিল সর্বাত্মক লক ডাউন।
সর্বাত্নক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত ছিলো নগরীর বহদ্দারহাট থেকে বিমানবন্দর সড়ক, জিইসি থেকে একে খান সড়ক, ২ নাম্বার গেইট থেকে বায়েজিদ সড়ক ।
নগরীর এসব সড়কগুলোতে রিক্সার প্রাধান্য ছিলো বেশি। সেই সাথে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হতে দেখা গেছে অনেককেই। তবে নগরবীসার মতামত, আজ থেকে গার্মেন্টস শিল্প ও ব্যাংক খোলা থাকার কারণে অনেক বেশি ভিড় বেড়েছে রাস্তাঘাটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর টাইগারপাস এলাকায় পথচারী দিদারুল আলম জানান, লকডাউনের প্রথম দিন প্রশাসন কিছুটা কঠোর থাকলেও দ্বিতীয় দিনে অনেকটাই শিথিল প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞার বাইরে পথচারী, যানবাহন চলাচল করলেও খুব একটা ধরছে না পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম ফারুক বলেন, প্রতিদিন অভিযান করা ছাড়াও জনসাধারণকে সতর্ক করতে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে প্রথম দিনে কঠোরতা বজায় রাখায় দ্বিতীয় দিনেও এর প্রভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, আজ কিছুটা শৈথিল্যতা দেখালেও কাল হয়তো কঠোরতা বজায় রাখা হবে। জীবনযাত্রার দিকে নজর রেখে কৌশলে লকডাউন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের মুল লক্ষ্যই হচ্ছে করোনা সংক্রমণ রোধ।
সান নিউজ/আইকে