ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালীতে ঝর্ণা বেগম নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঝর্ণা বেগম উপজেলার মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আলতু শেখের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে আলতু শেখ ও ঝর্ণা বেগমের মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী আলতু শেখ স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে মারপিট করেন। বুধবার(১৪ এপ্রিল) সকালে বাড়ির সবাই দেখতে পান ঝর্ণা বেগমের মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নুরুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি জানতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আট বছর আগে উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের মীরের কাপাষহাটিয়া গ্রামের আমজাদ শেখের ছেলে আলতু শেখের (৩০) সঙ্গে প্রেম করে একই এলাকার জাবেদ আলীর মেয়ে ঝর্ণার বেগমের (২৬) বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। এভাবেই চলছিল তাদের সংসার। তাদের চার বছরের ছেলে ও সাত বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। মাঝেমধ্যে আলতু শেখ স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে মারধর করতেন।
এদিকে ঝর্ণার মামা মো. বিশু খাঁ বলেন, ঝর্ণাকে নির্যাতন করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে আলতু ও তার পরিবারের লোকজন জড়িত।
এদিকে আলতু শেখের মোবাইল বন্ধ থাকায়, বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাকে এবং তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পাশের বাড়ি লোকজন জানান তারা সবাই পলাতক।
মধুখালী থানার ওসি (তদন্ত) রথিন্দ্র নাথ তরফদার বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই জানা যাবে, এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে একটি থানায় মামলা হয়েছে।
সান নিউজ/আরএস/এসএম