রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইছামতি গ্রামে বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনার মূল হোতা সালাহ উদ্দিন বাচ্চুসহ তার পেটুয়া বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এর আগে রোববার (১১ মার্চ) সকালে ইছামতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে সালাহ উদ্দিন বাচ্চুকে প্রধান আসামি ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০-৩৫ জন অজ্ঞাত দিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, ইকবাল বাহার খান, আতাউর রহমান চিনি, মজনু শেখ, সাইফুল রহমান, মুনছুর, বেল্লাল, সফিকুল, আলামিন-১, শাহাদত, হাবিবুর রহমান, সোহেল, বারিক, জিহাদ, মান্নান, সফি-১, পাশা, আব্দুল হামিদ, আলামিন-২, শফি-২সহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ তিন যাবত ইছামতি গ্রামে আবু সাঈদ খান তান্ডব চালিয়ে আসছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলেদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। প্রভাবশালী সাঈদ খানের পরিবার এলাকার নিরহ মানুষগুলোকে অহেতুক নির্যাতন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার সকালে বাচ্চুর পেটুয়া বাহিনী দ্বারা পাশের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাট করে। এসময় ঐ বাড়ির অনন্ত ১০ জন আহত হয়। দুর্ধষ দাঙ্গাবাজ বাচ্চু বাহিনী গংদের গ্রেফতারের জোড় দাবি জানান।
বাচ্চু বাহিনীর হামলায় আহতরা হলেন, মজিবর রহমানের ছেলে হায়দার আলী (৪৮), তার স্ত্রী শেফালী খাতুন (৪০), মজিদ প্রামানিকের ছেলে মাইদুল (৩০), মজিবর শেখের ছেলে আবু তালেবসহ (৪০) ১০ জন।
আহত হায়দার আলীর বড় ভাই সোহরাব আলী সেখ বলেন, বাচ্চুর সন্ত্রাসী বাহিনী গ্রামের সহজ সরল মানুষদের উপর নির্যাতন করে আসছে। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। কেউ কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি প্রদর্শন করে। রবিবার সকালে অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়ীতে এসে তান্ডবলীলা চালায়। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এই বাচ্চু বাহিনীর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামে বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/কেটি