নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনা: পাবনায় আলাদা ঘটনায় শিশুসহ তিনজন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে জেলার চাটমোহরে দুইজন ও ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একজন আত্মহত্যা করে।
চাটমোহরে অবসরপ্রাপ্ত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ও একজন গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী সেলিনা খাতুন শুক্রবার রাতে কীটনাশক পান করেন। স্বজনরা তাকে প্রথমে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, নিমাইচড়া ইউনিয়নের চিনাভাতকুর গ্রামের বিষ্ণপদ হালদারের স্ত্রী আলো রানী নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময়ে তিনি তার শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সেলিনা খাতুনের বিষয়ে পাবনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আলো রাণী হালদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এদিকে জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মায়ের ওপর অভিমান করে উর্মি খাতুন (১০) নামের এক শিশু আত্মহত্যা করেছে। উর্মি খাতুন উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, উর্মি খাতুনের মা জবেদা খাতুন শনিবার বিকেলে মেয়ে উর্মি খাতুনকে গোবরের তৈরি ঘুঁটে (ঘসি) তুলতে বলে। ঘসি না তোলায় মা উর্মি খাতুনকে বকাঝকা করে। সন্ধ্যার পর অভিমানে ঘরের ডাবের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে উর্মি। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে
সান নিউজ/আরআই