এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : রাঙামাটি শহরে স্টেডিয়ামের সিঁড়ির নিচে পরিত্যক্ত অবস্থায় মিলেছে টিসিবি’র খাদ্যপণ্য। প্রায় দুইশো বোতল দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৬ বস্তা ডাল, ৫ বস্তা চিনি, ২ বস্তা ছোলা ও ৪ বস্তা পেয়াঁজ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এসব খাদ্যপণ্য বেশি মূল্যে অন্যত্র বিক্রি করে দিতেই গোপনে মজুদ করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে টিসিবি ডিলারের ‘কারসাজি’ বলে মনে করছেন তারা। তবে ডিলার বিষয়টি অস্বীকার করে এসব মালামাল ‘চুরি হয়েছে’ বলে দাবি করছেন। সরকারি এসব খাদ্যপণ্য কারা মজুদ করেছে তাদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন অনেকেই।
স্টেডিয়াম এলাকাটি নির্জন হওয়ায় এখানে রাতের বেলায় টিসিবি পণ্যগুলো মজুদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসব পণ্য সড়িয়ে নিয়ে দোকানদারদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনটা করা হয়েছে। কিন্তু সকাল হয়ে যাওয়ায় এবং লোকজন চলে আসায় সংশ্লিষ্ট্যরা পণ্যগুলো ফেলে রেখে চলে যায়।
পথচারী মো. হানিফ জানিয়েছেন, ভোরে টিসিবি লেখা বস্তায় পেঁয়াজ, চিনি, ডাল, ছোলা ও সয়াবিন তেল পড়ে থাকতে দেখে অনেকেই সেখান থেকে কিছু কিছু নিয়ে যাচ্ছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে খেটে খাওয়া লোকজন সেখানে ভিড় জমাতে থাকে। পরে খবর পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে টিসিবি পণ্যগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, নির্ধারিত মূল্য ৫শ টাকা হাতে নিয়ে আমরা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সংশ্লিষ্ট ডিলার থেকে টিসিবি পণ্য নিতে পারি না।
টিসিবি ডিলার জিল্লুল মজুমদার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকার পণ্য চট্টগ্রাম টিসিবি কেন্দ্র থেকে রাঙামাটিতে এনেছিলেন। আজ শনিবার সেগুলো রাঙামাটি শহরে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে টিসিবি’র পণ্য উদ্ধারের খবরটি পাই।
গোডাউনের গেইটের তালা ভেঙে এসব পণ্য চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি তিনি কোতয়ালী থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন এবং ওসিকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেছেন বলেও জানান।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পণ্যগুলো উদ্ধার করেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সান নিউজ/কেটি