নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি : সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল, হাট বাজার খোলা রাখার কথা থাকলেও কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এছাড়াও স্থানীয় গণপরিবহনেও মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। যে যার মত করে মনগড়াভাবে চলাফেরা করছে।
এদিকে, প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট দেখলে পাবলিক লড়েচড়ে বসে। মোবাইল কোর্ট চলে গেলেই যেই সেই। রাঙামাটির দোকানপাট, শপিংমল ও হাটবাজারে প্রতি মিনিটে মিনিটে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন হচ্ছে। যার ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেলা সদরে কোভিড-১৯ প্রতিদিনই পজিটিভ হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের মধ্যে হাটবাজারগুলোতে জনসমুদ্র সবাই আছেন কেনা কাটায় ব্যস্ত। কেউ কারও কথা শুনতে রাজি না। কারও করোনাভাইরাস নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। শারীরিক দূরত্ব ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই।
এদিকে, আগামী সোমবার (১২ এপ্রিল) উপজাতি সম্প্রদায়ের বিজু ও পহেলা বৈশাখ ঘিরে বনরুপা কাচাবাজার, রির্জাভ বাজার, টিএন্ডটি সড়ক ও কুতুকছড়ি বাজারে কেনাকাটায় মানুষের ঢল। দেখলে বুঝা যাবে না এটি কি করোনাকালীন বাজার নাকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাজার। উপজাতি সম্প্রদায়ের লোকেরা মনে হয় করোনা কি জিসিন তা ভুলে গেছে। কেউ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। সবাই কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত।
বাজার করতে আসা টমেটো চাকমা বলেন, পরশু আমাদের বিজু তাই যত সামান্য বিজুরবাজার করতে এসেছি। অপরদিকে, শুনেছি আগামী ১৪ এপ্রিল সরকার কঠোর লকডাউন দেবেন সে জন্য বেশি করে বাজার সদায় করতে এসেছি। আমার মত সবাই কেনাকাটা করতে এসেছে। লকডাউনে তো ঘরে থেকে বের হতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, গত বছর বিজু পালন করতে পারিনি, এবারও বিজু পালন করতে পারব না। তাই মনে অনেক কষ্ট। তবে যতটুকু পারি ঘরের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে বিজু পালন করবো।
জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা তথ্য অফিস এবং রাঙামাটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জন সচেতনতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শহরের মধ্যে প্রতিদিনই মাইকিং করতে দেখা গেছে। এত স্বাস্থ্য সচেতনতার পরও পাবলিক স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ।
সান নিউজ/কেটি