নিজস্ব প্রতিনিধি, নরসিংদী : করোনার ঝুঁকিতে দেশের অন্যতম ৫ নম্বর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নরসিংদী। এছাড়া সারা দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার সারাদেশে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) চলছে তৃতীয় দিন।
এরইমধ্যে যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় হাট-বাজারই খোলা মাঠে বসানোর নির্দেশনা রয়েছে। সেখানে গাদাগাদি করে পূর্বের ন্যায় মনোহরদীতে পশুর হাট জমেছে। এই হাটে ছিল না কোন স্বাস্থ্যবিধি, অধিকাংশ মানুষর মুখেই ছিল না মাস্ক, ছিল না সামাজিক দুরত্বও। আর এতে বাজার কর্তৃপক্ষের যেনো কোনো দায় নেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে বাজারে হাজার-হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে পশু কেনা কাটা করেছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রকাশ্যে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই পশুর হাট চললেও স্থানীয় প্রশাসন গা ভাসিয়ে চলেছেন। এতে করে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
মনোহরদীর বাসস্ট্যান্ডের পশুর হাটে শত শত ক্রেতা বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে আশপাশের এলাকা থেকে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন পশু নিয়ে আসেন।
ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহের প্রতি বুধবার এখানে পশুর হাট জমে। অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক ভাবেই তারা এই হাটে পশু কেনা-বেচা করছেন।
লকডাউনের মধ্যে পশুর হাট বসানোর বিষয়ে পশুর বাজার ইজারাদার কফিল উদ্দিন বলেন, মনোহরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে অনুমতি নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী পশুর হাট বসানো হয়েছে। পশুর হাট চলাকালীন সময় কোনও সরকারি কর্মকর্তা হাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়নি।
এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম কাসেম জানান, জনসাধারণকে লকডাউন মেনে চলার জন্য মাইকিং করে জানানো হয়েছে। পশুর হাট দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এসআই/কেটি