নিজস্ব প্রতিনিধি, রংপুর : রংপুরের মিঠাপুকুরে চাকরি দেয়ার নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে সাড়ে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরও কবির হাসান নামের এক যুবককে খুন করা হয় গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে।
গাজীপুরের জাতীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের পাঁচ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাঁঠালী নয়াপাড়া দাফন করা হয়েছে। এর আগে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর কবির হাসানের লাশ জাতীয় কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে সোমবার গভীর রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার কাঁঠালী নয়াপাড়া গ্রামের জাকিউল ইসলামের ছেলে কবির হাসান সরকারি চাকরির জন্য অনেক দিন থেকেই বিভিন্নস্থানে ধর্ণা দিচ্ছেন। পূর্ব পরিচিত সূত্রে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফজর আলীর ছেলে নাজমুল কিছুদিন আগে কবিরকে একটি মন্ত্রণালয়ের ডাইভার পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেন।
মন্ত্রণালয়ের ড্রাইভার পদে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে কবিরের কাছ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা নেন নাজমুল ইসলাম। চাকরিতে যোগদানের আগে ড্রাইভিং শেখানোর কথা বলে তাকে ২৫ মার্চ গাজীপুরে ডেকে নেন।
চার দিন তত্ত্বাবধানে রাখার পর ২৯ মার্চ রাতে সাফারি পার্কের ভেতর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরদিন ৩০ মার্চ সকালে মুখে টেপ ও গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এরপর ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে লাশটি হস্তাস্তর করে পুলিশ। তারা বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে কবিরকে দাফন করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তার পরিচয় শনাক্ত করে। কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তাস্তর করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনো পলাতক রয়েছে মূল আসামি নাজমুল ইসলাম।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, কবির হাসানের লাশ উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যরা গত সোমবার রাতে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সান নিউজ/এইচআর/কেটি