নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকার জন্য মাহমুদা সীমা (২০) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সদর মডেল থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহসাব খাঁন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
নিহত সীমা কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দক্ষিণ কলেজপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের মেয়ে।
নিহতের রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে জানতে পারে তার মেয়ে সীমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে ইকবাল হোসেন। তারপর বাড়িতে গিয়ে দেখি সীমার লাশ শোবার ঘরে পড়ে আছে। ওই সময় কাউকে ঘর পাইনি। সীমার স্বামী ইকবালসহ তার বাবা-মা কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায় মৃত্যুর পর ইকবালসহ সবাই পালিয়েছে। পরে পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে সীমার লাশ উদ্ধার করে সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গত ৬ মাস আগে জেলা শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকার মৃত হিরন মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেনের কাছে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তিনলক্ষ টাকা কাবিননামায় সীমাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে সীমাকে তার স্বামী-শ্বাশড়ি যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কয়েকমাস আগে ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করেন ইকবাল। কিন্তু মেয়ের সুখের জন্য ইকবালকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তারপরও তাদের সংসারের শান্তি হয়নি।
তিনি দাবি করে বলেন, তার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায়ই মারধোর করতেন ইকবাল। সীমা এসব সহ্য করতেন, স্বামীর মার খেয়েও কখনও এগুলো আমাদের বলতেন না। গতকাল সীমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ইকবাল ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে রাখে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতকাল দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সীমা নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করি। ওই সময় সীমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। আজকে ময়নাতদন্তের পর গৃহবধূর লাশ পরিবারের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সান নিউজ/এনআই/কেটি