নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার : জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের একটি গ্রাম বেলাগাঁও। এ গ্রামের অসংখ্য মানুষ নিজের জমিতে, কেউ ভাড়া করা জমিতে কিংবা বর্গা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেন। কৃষক পরিবারের নারী, বৃদ্ধ সবাই ফসল ফলানোর কাজে শ্রম দিয়ে থাকেন। একইভাবে শিশুরাও পরিবারের কৃষি কাজে শ্রমের মাধ্যমে সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।
শিশু সৈকত ইসলাম (১২)। তার বাবা আব্দুল মন্নান নিজের এবং অন্যের জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করেন। বাবার মত সেও সবজি ক্ষেত দেখাশোনা করে। ফসল কিভাবে উৎপাদন করতে হয় সে বিষয়ে তার তেমন কোন ধারণা না থাকলেও বাবা যেভাবে ফলন ফলায় সৈকত সেভাবে করার চেষ্টা করে। তবে এবার মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হওয়ায় খুবই আনন্দিত মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী সৈকত। তার চোখে মুখে তাই আনন্দের হাসি। এ হাসিই বলে দেয় ফসলের এ বাম্পার উৎপাদন তাদের পরিবারের অনেক অপূর্ণতা পোষিয়ে দিবে।
বৃহত্তম হাওর হাকালুকি বর্ষায় জলে ভরে গেলে অনেকটা ছোটখাটো সাগরের মতোই মনে হয়। তখন এ হাওর পারের অন্যান্য গ্রামের মত বেলাগাঁও গ্রামটিকে সাগরে ভাসমান গ্রাম মনে হয়।
বেলাগাঁও গ্রামের অধিকাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা এ হাওর কেন্দ্রিক। কেউ ধান চাষি, মৎস্যজীবী কিংবা নৌকার মাঝি। আবার কেউ সবজি চাষি। হাওরে উৎপাদিত সবজির মধ্যে অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল মিষ্টি কুমড়া।
সান নিউজ/এসকে/কেটি