নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে মালবাহী ট্রলি ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত যুবক আলাউদ্দিন (২১)। তিনি আহত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা হেলাল উদ্দিনের ছেলে এবং দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘সকালে টুমচর কেরামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও বরিশাল সদর উপজেলার সারুখালির বাসিন্দা মাওলানা আব্দুল জলিল (৪৮) এবং একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক টুমচরের বাসিন্দা মাওলানা হেলাল উদ্দিন মাদ্রাসার কাজে যেন।
সেখান থেকে শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের ছেলের আলাউদ্দিনের মোটরসাইকেলে বরিশালে ফিরতে ছিলেন তিনজন। পথিমধ্যে বেলা সোয়া ১২টার দিকে বরিশাল-বাউফল অভ্যন্তরিন সড়কের চন্দ্রমোহন ভেদুরিয়া বাজার সংলগ্নে ইটবাহি অপর একটি ট্রলি গাড়ির সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়।
এতে মোটরসাইকেল আরোহী মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল জলিল ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাছাড়া আহত অপর শিক্ষক মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে মোটরসাইকেল চলক আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক আহত আলাউদ্দিনকে নিহত ঘোষণা করেন। তাছাড়া তার বাবা আহত সহকারী শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে হাসপাতালের সার্জনারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন।
ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ‘ঘটনার পর পরই ঘাতক চালক ট্রলি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ কারণে ট্রলি বা চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/কেআর/কেটি