এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি : লকডাউনে তৃতীয় দিনেও রাঙামাটিতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না জনগণ। জেলা প্রশাসন চেষ্টার ফলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ খেটে খাওয়া মানুষগুলো। প্রশাসন বলছে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘর থেকে বের হবে না। জরুরি ছাড়া দোকানপাট বন্ধ লোকাল যানবাহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এই লকডাউন মানতে রাজি না।
তৃতীয় দিনের লকডাউনে রাঙামাটি শহরের মধ্যে সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে, রির্জাভ বাজারসহ বেশ কিছু জায়গায় দোকানপাট ও হোটেল খোলা ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় জনগণ ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে। অনেকেই লকডাউনের বিপক্ষে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে কাজকর্ম দোকানপাট ও বসে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে।
রির্জাভ বাজার লঞ্চ ঘাটের বেশ কিছু দিন মুজুর বলেন, কিসের লকডাউন পেটে ভাত নাই।সরকার আমাদের পেটে ভাত দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আমরা ঘর থেকে বের হবো না। আমরা দিন মুজুর আমাদের অবস্থা কি হবে সে ব্যাপারে কি সরকার একবার চিন্তা করেছেন।
লকডাউন দেওয়ার আগে সরকারের ভেবে দেখা উচিৎ ছিল। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাব। এছাড়া প্রতিটি লেবারের এনজিও কিস্তি আছে ওই কিস্তি দিতে না পারলে আমাদের সমস্যা আছে। বাধ্য হয়ে আমরা ঘরে থেকে বের হতে হয়েছে। এটা লকডাউন না এটা একটা জীবন যুদ্ধ বললেই চলে।
পৌর ট্রাক টার্মিনালের দিনমজুররা বলেন, লকডাউনে তাদের কোন কাজকর্ম নাই। তারা দিনে আনে দিনে খায়, বর্তমানে তাদের অবস্থা করুন। সরকার দ্রুত এই লকডাউন যেন তুলে নেয়। এ অবস্থা বিরাজ করলে আমরা না খেয়ে মারা যাব। আর যদি লকডাউন দিতেই হয় তাহলে সরকার আমাদের খাওয়া দাওয়ার ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাহলে আমরা ঘর থেকে বের হবো না।
এদিকে, লকডাউনের তৃতীয় দিনে শহরের মধ্যে প্রচুর অটোরিকশা (সিএনজি) চলতে দেখা গেছে। তবে নাম্বার ওয়ালা অটোরিকশা (সিএনজি)র চেয়ে নাম্বারবিহীন সিএনসি রাস্তায় বেশি দেখা গেছে। তারা মানছে না লকডাউন মানছে না জেলা প্রশাসনের আদেশ। এদিকে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ লকডাউন ঠেকাতে মাঠে তৎপর রয়েছে।
সান নিউজ/কেটি