নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবার ইট-পাথরের পাকা ব্রিজ নির্মাণ করছেন। এর আগে তিনি হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ৩৩টি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। তিনি ৩৪তম ব্রিজকে তার পরকালে মুক্তির উপায়/নাজাতের উপায় হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থেকে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যারিস্টার সুমন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে ৩৩টি ব্রিজ তৈরি করেছি। এবারই প্রথম পাকা ব্রিজ (৩৪তম) নির্মাণ করছি। ব্রিজের অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নিজের জন্মস্থানের সেবা করা ইবাদত। সেই ইবাদতের অংশ হিসেবে জন্মস্থানের মানুষের কল্যাণে কাজ করছি। এটি আমার গর্বের জায়গা।’
ফেসবুক লাইভে সুমন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা আমার পরকালের নাজাত ও মুক্তির উপায় হিসেবে থাকবে। আমার নাজাতের উপায় হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন যে, আমার ব্রিজের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ।’
মঙ্গলবার লাইভের শুরুতেই সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আপনারা আমার পিছনে দেখতে পাচ্ছেন, ব্রিজের ছয়টি পিলার। এবার আমি পিলার দিয়ে পুরো পাকা ব্রিজ বানাতে যাচ্ছি। এটা আমার ৩৪তম ব্রিজ। এ ব্রিজের অর্ধেক কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনেক মজবুত ও বড় পিলার তৈরি করেছি। এ পিলারের বিশেষত্ব হচ্ছে- যারা বানিয়েছেন তারা বলেছেন, এটা ৫০ থেকে ১০০ বছরে কিছু হবে না। ব্যক্তি উদ্যোগে সরকারের সহযোগিতা না নিয়েও যে মানুষের জন্য কাজ করা যায়, এ ব্রিজ তার প্রমাণ। এই ৬টা পিলার তৈরি করতে আমার মাত্র ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ব্রিজের ওপরের অংশ পাকা করতে দেড় লাখ টাকার মত খরচ হবে। আমার আয় থেকে টাকা বাঁচিয়ে এ ব্রিজ তৈরি করছি।’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘লকডাউনে আমার কাজ না থাকায় ব্রিজ তৈরির অগ্রগতি দেখতে এসেছি। আমার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ যে ধরনের অবস্থাতেই থাকুক না কেন জন্মস্থানের সেবা করতে ভুলবেন না। রাজনীতি বলেন, আর ধর্ম বলেন, সবই তো মানুষের কল্যাণের জন্য। কয়েক দিনের মধ্যে আমি সুপ্রিম কোর্টের দুজন আইনজীবীকে করোনায় মারা যেতে দেখেছি। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে, মারা যাওয়ার আগে নাজাতের জন্য অন্তত কিছু কাজ করে যেতে চাই। আমাকে যারা অপছন্দ করেন, তারা গালাগালি করেন সমস্যা নেই। কিন্তু আমার কোনো কাজ, যেমন ব্রিজের ধারণা যদি ভাল লাগে আপনার এলাকায় অন্তত একটা ব্রিজ বানিয়ে দিয়ে যান।’
আরেকটা কথা বলতে চাই, আপনি সম্পদ চাইলে নষ্ট করতে পারবেন, সরকারি সম্পদ হোক, অন্যের সম্পদ হোক। সম্পদ নষ্ট করা সহজ কিন্তু সম্পদ গড়া অনেক কঠিন। সম্পদ নষ্ট করে মানুষকে কষ্ট দিয়ে কখনো কোনো রাজনীতি সফল হতে পারে না।
সান নিউজ/এসএম