আল-মামুন, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় দিনেও লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা দেয়। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু ৭ দিনের। প্রথম দিনেও ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছেও দ্বিতীয় দিনে সে একই চিত্র দেখা যায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। ফলে উপেক্ষা হচ্ছে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ নির্দেশনা।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠে কাজ করে চলেছে। সরকার করোনা প্রতিরোধে এই লকডাউন দিলেও অনেকটা স্বাভাবিক দিনের মতই মানুষের চলাচল ছিল স্বাভাবিক। দোকানপাট ও অর্ধ খোলা রেখে সুবিধামতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও।
নির্দেশনায় জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত যেসব দোকানপাট কথা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে সেগুলোও ছিল অনেকটা খোলা। স্বাস্থ্য বিধি মানার সুনির্দিষ্ট উল্লেখ থাকলেও অনেকে আবার তাও মানছে না। অনেকে আবার সচেতনতার বালাই থাক দূরের কথা মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না।
ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের স্থলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল। অনেকটা স্বাভাবিকভাবে অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন মেনে চলার বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। তারপরও অনেকেই তা মানছে না। সবজি ও মাছ-মাংস বাজারে অনেকটা গাদাগাদি করে চলছে স্বাভাবিক নিয়মে কেনাবেচা। দেখা যায়নি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাত ধোয়ার পানি-সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার বিষয়টি।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করছে প্রশাসন। মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারেও পুলিশের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং ও জনসচেতনতা বাড়াতে পুলিশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
সান নিউজ/কেটি