নূরুল আজিজ চৌধুরী, নরায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া বারোটার দিকে যখন লঞ্চটি উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয় তখন ভেতরে লাশ আর লাশ দেখা যায়।
ইতোমধ্যে ২২ জন শিশু, নারী ও পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গতরাতে ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭ জনে।
রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সদর উপজেলার চর সৈয়দপুর এলাকায় একটি কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল। যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে তীরে ওঠেন। লঞ্চ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে রাত থেকে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা৷
রাতে উদ্ধারকর্মীরা ৫ নারীর লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক৷ লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জ সদরের উত্তর চরমসুরার ওয়ালিউল্লাহের স্ত্রী পাখিনা (৪৫), মুন্সিগঞ্জ সদরের প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), মালপাড়ার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০) ও নোয়াগাঁও পূর্বপাড়ার দুখু মিয়ার মেয়ে ছাউদা আক্তার লতা (১৮)৷ রাতে উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ নৌ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল আলম জানান, চরসৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যায় নির্মাণাধীন সেতুর কাছাকাছি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। একটি কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় এম এল সাবিত আল হাসান নামের লঞ্চটি ডুবে যায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওয়ানা হয়েছিল ডুবে যাওয়া লঞ্চটি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের নিরাপত্তাকর্মী মোহাম্মদ হালিম৷ তিনি বলেন, এসকেএল-৩ (এম: ০১২৬৪৩) নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়।
সান নিউজ/কেটি