ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পা কেটে নেয়া সেই মোবারক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন।
তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার লকডাউন ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় শত শত মানুষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থানাকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। কয়েক দফায় চলা ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের সময় জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার এক পা কেটে নিয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করেন আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঢাকায় রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী মোবারক করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়িতে এসেছিলেন। গ্রামে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।
মোবারকের স্ত্রী সাবিয়া জানান, তার সামনেই মোবারককে মাটিতে সোজা করে শুইয়ে ফেলে কোপানো হয়। এসময় তিনি অদূরেই থাকা পুলিশের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন সাহায্যের জন্যে। তার স্বামীকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উল্টা ধাওয়া দেয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের 'প্রধান হোতা' জিল্লুর রহমান ও আবু কাউসার মোল্লাসহ ৪২ জনকে আটক করে। পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে।