নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর : ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামে সোমবার দিবাগত রাতে চা বিক্রেতা মোঃ বাচ্চু মিয়াজী (৫০) রান্না ঘরের সাথে যৌথ গরু খামার ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালসহ মৌসুমী ফসল আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। এ সময় আগুনে উন্নত জাতের বিদেশি দুধেল গাভী ও বাছুরসহ তিনটা ছাগল পুড়ে ছাই হওয়ায় ওই দরিদ্র চা-বিক্রেতার আহাজারিতে শোকের বাতাস ভারি হয়ে উঠছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চু মিয়াজী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ প্রতিবেশীর ডাক শুনে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি কিন্তু এরই মধ্যে গরু, ছাগল সহ গোয়াল ঘর পুড়ে যায়। এ সময় খামারে থাকা পাঁচটি পশু আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে দুইটি বিদেশি দুধেল গাভী ছিল। এছাড়া গোয়ালঘরে সাংসারিক নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল রাখা ছিলো, সেগুলো পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার অধিক। সব হারিয়ে আমি এখন পথে বসে গেছি।
অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটা দুবৃত্তায়নের কুট-কৌশল দ্বারাই সম্ভব। কারণ গরুর খামারে কোনো প্রকার বৈদুতিক লাইন ছিলো না। এছাড়া অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে একইভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ইউপি মেম্বর আবুল কাশেম ব্যাপারী।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, সম্প্রতি আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি যে আমার ইউনিয়নের হোগলাকান্দী গ্রামে গত সপ্তাহে একরাতে চারটা বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত্রে খাসকান্দি গ্রামে যে ঘটনাটি ঘটেছে খুবই দুঃখজনক উনি একজন দরিদ্র মানুষ পেশায় চায়ের দোকানদার।
তিনি আরো বলেন, সরকারকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে একটি সংঘবদ্ধচক্র আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার জন্য এই কাজ করছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্ত সাপেক্ষে ইউনিয়নের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে টহল পুলিশের দ্বারা জোরদার পাহারা নিশ্চিত করতে একান্ত দাবি করছি।
সান নিউজ/বিডি/এনকে