এম.কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি: মাঙামাটিতে করোনা মোকাবেলায় নতুন করে ১৮ বিধিমালা নিয়ে জনসচেতনতায় মাঠে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসন মো. মিজানুর রহমানের অনুমতিক্রমে শহরের বাণিজ্যিক প্রাণ বনরুপা এলাকা কাঁচাবাজার জনসচেতনতায় মাক্স ব্যবহারও বাজার দর নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিসেস লাইলাতুল হোসেন।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত সোমবার (২৯ মার্চ) বিকালে ঘোষণা দেওয়া ১৮ স্বাস্থ্যবার্তা বাস্তবায়ন করতে সারা দেশের স্ব-স্ব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের এই নিদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এসব নিদেশ নিয়ে করোনা মোকাবেলায় জনসচেতনতায় মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। এই দুই প্রশাসন মঙ্গলবার সকাল থেকে শতভাগ মাক্স পরা নিশ্চিত করতে মাঠে ঘাটে হাট বাজারে জনগণকে সচেতন করছেন তারা।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমরা জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। সারা দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে সে সুবাদে এখানেও প্রতিদিন নতুন নতুন করোনার রোগি শনাক্ত করা হচ্ছে। রাঙামাটি পর্যটক নগরী হিসেবে আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এতে অংশগ্রহণ করবেন প্রত্যেক জেলার ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জনরা। সে কনফারেন্সে হয়তো বা করোনা সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে সে অনুপাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে কোভিড-১৯ থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ফোকাস ডাক্তার মোস্তফা কামাল বলেন, রাঙামাটিতে ধীরে ধীরে করোনা রোগি বাড়ছে। এটা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে মাক্স পরিধান করতে হবে। সরকারের বেধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এখন প্রতিদিনই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস ধরা পড়ছে। তবে জেলা সদরে সংক্রমণের সংখ্যা একটু বেশি।
সান নিউজ/কেটি