নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা রোববার (২৮ মার্চ) হরতালে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আহত অবস্থায় নিয়ে আসার পর গুলিবিদ্ধ দুজন মারা গেছেন। এসময় বিক্ষুদ্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে পীরবাড়ি-পৈরতলা এলাকায় বিক্ষুদ্ধ মাদ্রাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতা অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে।
এসময় বিক্ষুব্ধদের সাথে সড়কে পুলিশের ব্যাপক সংর্ঘষ সৃষ্টি হয়। অপরদিকে বিক্ষুদ্ধরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে শহরের ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, জেলা পরিষদ ভবন, ভূমি অফিস, পৌরসভা ভবন-মিলনায়তন, গণ গ্রন্হাগারসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থানে ভাংচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেন। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় বিক্ষুদ্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উপস্থিত সাংবাদিক ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
সংর্ঘষে নিহতরা হলেন-সরাইল উপজেলা সুফি আলীর ছেলে আল আমিন (১৯) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরেক যুবক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন। এর আগে গত (২৭) মার্চ জেলার বিভিন্নস্থানে সংর্ঘষে নিহত হয়েছে অন্তত ৬ জন। পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশত।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে রোববার (২৮ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯ জনে দাঁড়াল।
সান নিউজ/এনআই/এনকে