নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে হেফাজত কর্মীদের হামলায় ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের দুই এসআইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের দুটি মোটর সাইকেলসহ ৩টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, রোববার (২৮ মার্চ ) দুপুরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নোয়াগর এলাকায় হেফাজত কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হেফাজত কর্মীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে।
এসময় থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ আহত হয়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় পুলিশ একটি গাড়ি ভাংচুর ও দুটি মোটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হেফাজত কর্মীরা পিছু হটে।
এরপূর্র্বে, ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রাস্তায় নেমে পড়েছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে রাস্তা বন্ধ করে পিকেটিং করে থাকতে দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার মৌচাক নামকস্থানে মাওলানা আব্দুল খালিক ও মাওলানা আজিজুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তা বন্ধ রেখেছে হেফাজত।
এছাড়াও সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল পয়েন্টে মাওলানা লোকমান সাদীর নেতৃত্বে রাস্তায় গাছ ফেলে পিকেটিং করেছে হরতাল সমর্থকরা। বানিয়াচং, মাধবপুর উপজেলায়ও হেফাজতের কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হরতাল পালনে কোনো ধরনের বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
এদিকে হরতালের কারণে জেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও বাস এবং গাড়িসহ চলাচল করছে না কোনো ধরনের যানবাহন। এছাড়া বাস কাউন্টারে কোনো যাত্রীদের ভিড়ও দেখা যায়নি।
অন্যদিকে হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নাশকতা ঠেকাতে জেলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সান নিউজ/এফসি/ এনকে