নিজস্ব প্রতিনিধি, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে নির্মাণ সামগ্রী ও গাছের গুড়ি রেখে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নে অবস্থিত উত্তর গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘোষপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ইট, বালু, খোয়াসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী।
গত দুই মাসের অধিক সময় ধরে দুই বিদ্যালয়ে এসব নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন পার্শ্ববর্তী হাটখোলার বটতলা থেকে গোহাইলবাড়ি বাজার পর্যন্ত এবং সাতৈরের কান্দাকুল ডেইরি মিল্ক থেকে গোহাইলবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজের ঠিকাদাররা। এছাড়া ওই দুই বিদ্যালয়ের মাঠে কাঠ ব্যবসায়ীরা বিক্রির উদ্দেশ্যে তাদের কাঠের গুঁড়ি রেখেছেন।
এতে বিদ্যালয়ের মাঠ পুরোটাই বেদখলে। বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্তূপ করে রাখা নির্মাণ সামগ্রীর ধূলায় নবনির্মিত ওই বিদ্যালয়ের ভবনের রং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয় দুটির মাঠ গত দুই মাস ধরে সড়ক মেরামতের জন্য ব্যবহার করছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।
এ ব্যাপারে উত্তর গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ কর বলেন,‘বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোদাচ্ছের হোসেনের সঙ্গে কথা বলে আমি সবার সম্মতিক্রমে হাটখোলার বটতলা থেকে গোহাইলবাড়ি বাজার পর্যন্ত রাস্তার কাজ পাওয়া ঠিকাদারকে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অনুমতি দিয়েছি।’
এ বিষয়ে (হাটখোলার বটতলা থেকে গোহাইলবাড়ি বাজার পর্যন্ত) রাস্তার কাজ পাওয়া জাহিদ এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার গৌতম সাহা বলেন,‘নির্মাণ সামগ্রী মূলত সরকারি স্থাপনাতেই রেখে করা হয়। তারপরও আমি ২-৩ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে সব মালামাল সরিয়ে নেব।’
উত্তর গৌরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন বলেন,‘বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশের নিচু জায়গা ওই ঠিকাদারের ভরাট করে দেওয়ার শর্তে নির্মাণ সামগ্রী রাখার অনুমতি দিয়েছি।'
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আহাদ বলেন,‘এ বিষয়ে আমি এক মাস আগেই সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকদের বলেছি মাঠ পরিস্কার করার জন্য ঠিকাদারদের বলতে।’
এ সময় তিনি দ্রুত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার জন্য পদক্ষেপ নিতে সাংবাদিকদের সামনে উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোনে বলেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সান নিউজ/কামরুল/এসএ