নিজস্ব প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছের ছেলে ব্যারিস্টার মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রীতম, ভাই জি কে গফ্ফার ও তার ছেলে আদনান ফারহাদ রাফিদসহ অন্তত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসাবে জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা শায়েস্তানগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এক সময় পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদল, যবদল ও স্বেচ্ছাসেক দলের তোকর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া দেয়। পরে তারা সংগঠিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালালে পুলিশে আত্মরক্ষার্থে সদর থানায় আশ্রয় নেয়। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে সদর থানার পুলিশ ছুটে এলে নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। বেশ কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত কনস্টেবল মো. রিয়াজকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে পালিয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ জানান, তার বাসা থেকে ভাই, ছেলে ও ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। এটি একটি পরিবারের প্রতি জুলুম। তিনি বলেন, সংঘর্ষ রাস্তায় হয়েছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। কিন্তু নিরাপরাধ লোকদের কেন আটক করা হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কে ধংসাত্মক কাজে লিপ্ত হওয়ার পাঁয়তারা করছিল। পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণভাবে ভেতরে রাস্তায় কর্মসূচি পালন করার জন্য বলেছে। কিন্তু তারা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মেইন রোডে গাড়ি চলাচলে বাধাবিঘ্ন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযান অব্যাহত আছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাফরোজা আক্তার শিমুল জানান, পুলিশ রাস্তায় অবস্থান করছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করেছে। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল।
সান নিউজ/এফসি/কেটি