নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী সীমান্তে ফসলি জমি নষ্ট করে ভারত থেকে রাতের আধারে মাদকদ্রব্য আনতে বাধা দেওয়ায় মাদক পাচারকারীর হামলায় দুইজন আহত হয়েছে। রোববার (২১ মার্চ) সকালে কুশখালী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। মাদক পাচারকারীদের হামলায় আহতরা হলেন, কুশখালী গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৫২) ও শরিফুল ইসলাম (৩২)।
ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের ভাই জিয়াউর রহমান ৭ জনকে আসামি করে সোমবার (২২ মার্চ) সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, কুশখালী এলাকার শেহের আলীর ছেলে আঃ সামাদ (৩০), আইজুল ইসলাম (৩৫), শাহাদত হোসেন (৩২), একই এলাকার মৃত নুর আলী গাজীর ছেলে আজগর আলী (৫০), তার ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৭), জাকির হোসেন (৩৫), রাজ্জাক আলীর ছেলে বাবলু ও জাকির।
ঘটনার বিবরণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শফিকুল ইসলাম জানান, কুশখালী এলাকার শেহের আলীর তিন ছেলে আঃ সামাদ (৩০), আইজুল ইসলাম (৩৫) ও শাহাদাত হোসেন প্রতিনিয়ত গভীর রাতে আামদের ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে মাদক পাচার ও ভারতীয় বিভিন্ন অবৈধ মালামাল পাচার করে আসছে। এতে আমাদের ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ায় আমরা প্রতিনিয়ত তাদেরকে ফসল নষ্ট করতে নিষেধ করি। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে আমার ভাই এবং আমি ওই মাদক পাচারকারীদের পুনরায় নিষেধ করলে আঃ সামাদ, আইজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সহ তাদের সহযোগিরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তারা দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র, লোহার রড দিয়ে আমাদেরকে প্রহার করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে তাদের হামলায় আমরা দুই ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা আমাদের গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমাদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে কুশখালী গ্রামের মন্টু, চান্দু, কওসর আলী সহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, ‘আমাদের এলাকায় সামাদ বাহিনীর কারণে এলাকায় আমরা ঠিকমতো বসবাস করতে পারছি না। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তারা মদ, গাজা, ফেনসিডিল বাড়িতে রেখে বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে খুন জখমের হুমকি দেয়।
এছাড়া মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। ফলে তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না’। এ বিষয়ে কুশখালি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শ্যামল জানান, ‘আমার কুশখালি ইউনিয়নের সামাদ গং ও তার সহযোগী আসাদুল ও আজগর আলীকে মাদক বিক্রেতা বলে এলাকার লোক জানে। এছাড়া তারা বিভিন্ন রকম অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত। আমি এদের শাস্তি দাবি করছি’। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই আহম্মদ জানান, ‘সোমবার (২২ মার্চ ) সকালে আহতের ভাই জিয়াউর রহমান একটি মামলা দায়েল করছে মামলা নং-৬৮’।
সান নিউজ/এমআই/এনকে