নিজস্ব প্রতিনিধি, শরীয়তপুর : ২০ বছর পর শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির মুন্সীর হত্যা মামলা রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রোববার (২১ মার্চ ) এ রায়ে ৬ জনকে ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন এবং ৩ জনকে ২ বছর করে স্বশ্রম কারাদন্ড প্রদানের আদেশ করেছেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত হোসাইন। এ মামলায় ৪০ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। এদিকে, আসামির পক্ষের অনেকেই ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে দাবি তাদের পরিবারের।
এরমধ্যে সোমবার (২২ মার্চ) সকালে উক্ত মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত মজিবুর রহমান তালুকদারের পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে মামলার রায় প্রত্যাহার ও ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, মজিবর রহমান তালুকদারের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার রেবা। তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। আওয়ামী লীগ নেতা ও জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির মুন্সীর হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিনাদোষে ২০ বছর নানান নির্যাতনের শিকার হয়েছে আমার স্বামী মজিবর রহমান তালুকদার। এরপর গত ২১ মার্চ আদালত আমার স্বামীকে ফাঁসির দন্ড দিয়েছে। এতে আমার স্বামীকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই আমি ও আমার পরিবার ন্যায় বিচার চাই। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মরহুম শহর আলী তালুকদারের স্ত্রী ও মজিবুর তালুকদারের মা ১০২ বছরের বৃদ্ধা মেহেরজান বিবি, মজিবুর তালুকদারের মেয়ে লামিয়া আক্তার, মারিয়া আক্তার, বড়ভাবী শারমিন আক্তার, ভাতিজা শাওন তালুকদার, শোভন তালুকদার প্রমূখ।
গৃহিনী রাবেয়া আক্তার রেবা আরও বলেন, আমার শ্বাশুরী মেহেরজান বিবি ১০২ বছরের বৃদ্ধা, বড় ভাসুর হাশেম তালুকদার ক্যান্সারের রোগী, আমার ২ কন্যা সন্তান। আমার স্বামীই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাকে ছাড়া আমরা এখন অসহায়। আমরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি ও মানবেতর জীবনযাপন করছি। তাই উক্ত বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
সান নিউজ/এএএস/এনকে