নিজস্ব প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে অনেকে। সেই মামলার প্রধান আসামি দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়া ও অন্য ২৯ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের শুনানি মঙ্গলবার ২৩ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ( ২২ মার্চ ) দুপুরে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ।
রোববার ২১ মার্চ বিকেলে মামলার প্রধান স্বাধীন মিয়াকে আদালতের হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড ও এই মামলার অন্য ২৯ আসামিদের জিজ্ঞাসবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সদস্যের মৃত্যুতে ফুট কোর্ট রেফারেন্স হওয়ায় রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা গত বুধবার নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাংচুর করা হয়।
নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় গত বুধবার সকাল ৯ টায় তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়।
শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে ১৫০০ জন অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। আর নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে অন্য মামলাটি করেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল।
নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর মামলায় আসামি করা হয়েছে দিরাই থানার সরমঙ্গল ইউনিয়নের চন্দ্রপুর ও নাচনী এবং শাল্লা থানার কাশিপুর গ্রামের ৫০ জনসহ ১৫০০ জনকে। মামলার প্রধান আসামি ঘটনার উস্কানীদাতা নাচনী গ্রামের বাসিন্দা সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য যুবলীগ নেতা স্বাধীন মিয়াসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সান নিউজ/এসএ