নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা : ভোলার তজুমদ্দিনে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে নির্বাচনী মাঠ। মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকে এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ'লীগ ও বিদ্রোহী গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার রাতভর সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়াও রোববার (২১ মার্চ) সকালে চাচরা ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার উত্তর মাথা ও চাচরা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। চাচরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও চাচরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। উভয়পক্ষের হেলমেট বাহিনী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দিচ্ছে।
এতে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন জুড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাতে চাচড়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবু তাহের ও বিদ্রোহী প্রার্থী আঃ হান্নান সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন হান্নান জানায়, নৌকার সমর্থকরা মিছিল করে আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে। বাসা বাড়ীতে হামলা চালায়।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমর্থকরা জানায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রচার প্রচারণাকালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ হোসেন হান্নান গ্রুপের সমর্থরা নৌকার মিছিলের উপর হামলা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী গ্রুপের লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়।
এতে ২৫ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ১০ টি বসতঘর ও ৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর চালায়। এতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকা জুড়ে।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সান নিউজ/আইআর/এনকে