নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে আল আমিন (২৪) নামের এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ মার্চ ) সকালে মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ হোটেলে শরীফ আবাসিক এর চতুর্থ তলার ২২৬ নম্বর কক্ষ থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
নিহত আল আমিন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কর্মন্দপুর গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে। তিনি ঢাকা বাংলামটর এলাকার প্রিন্স কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত।
ঘটনাটি হত্যাকান্ড সন্দেহে নিহতের স্ত্রী ইসরাত জাহান ও তার দাদীসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। এরা হলেন-নিহতের স্ত্রী ইশরাত জাহান, তার দাদীসহ মানিক, সোহেল, সুজন ও হোটেল ম্যানেজার।
নিহতের বোন লাকি আক্তার জানিয়েছেন, ‘আল আমিনের সাথে বরিশাল নগরীর নিউ সার্কুলার রোড হার্ড ফাউন্ডেশন এলাকার কবির হোসেনের মেয়ে ইসরাত জাহান এর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
গত কয়েক মাস আগে তারা নিজেরা বিয়ে করে বলেও শোনা যায়। তবে ইসরাত জাহানের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছিল না। এ কারণে তারা বরিশালে পালিয়ে দেখা করতেন।
গত বৃহস্পতিবার আল আমিন ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন। শুক্রবার সে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে নথুল্লাবাদ এলাকার ওই আবাসিক হোটেলের রুম ভাড়া নিয়ে থাকেন।
লাকির অভিযোগ তার ভাইকে হোটেলে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি তার। তাছাড়া এই ঘটনায় হত্যা মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন নিহতের ভাই।
অপরদিকে নিহতের দুলাভাই বশির উদ্দিন বলেন, ‘আল আমিন কোনভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। পালিয়ে বিয়ে করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমলেস চন্দ্র হালদার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছি। তবে প্রাথমিকভাবে বলা সম্ভব নয় এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা।
তিনি বলেন, ‘নিহত যুবকের গলায় দাগ রয়েছে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন আলামত জব্দ এবং সুরতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রীসহ ছয়জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সিআইডিও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
সান নিউজ/কেআর/এনকে