নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোলা: ভোলার জেলা সদরের বাপ্তা পরাণগঞ্জ তালুকদার বাড়ির স্টেট থেকে ক্রয়কৃত জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ৩০ বছর বসবাসকারী দিলারা খানের পরিবারের উপর একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা করার অভিযোগ ওঠেছে মোস্তাফিজুর রহমান ও মাসুদ গ্রপের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসীদের হামলায় মারা গেছেন দিলারা খানের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক। ওই বিচার পান নি আজও।
শনিবার (২০ মার্চ) ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ৭০ বছর বয়সী দিলারা বেগম ৩০ বছর সন্ত্রাসীদের ভয়ে দিন কাটানোর কথা উল্লেখ করে, অভিযোগ করেন, এক সময় চিহ্নিত ভূমি দস্যু ও সন্ত্রাসীরা তালুকদার বাড়ির জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করতেন। ওই থেকেই তারা তালুকদার বাড়ির সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজেদের দখলে রাখতে চেষ্টা করছে। তার পিতা এমদাদুল হক ১৯৯০ সালে তালুকদার বাড়ির স্টেট থেকে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন। ওই বাড়িতে দিলারা খান ছেলে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন।
প্রতিবেশি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লার মেয়ে জামাই মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ গফুর ফরাজি গং, মোঃ কয়সর পন্ডিত গং, মমিন উদ্দিন পাটোয়ারি, মোঃ মুছা গং, মাকসুদ গ্রুপ তাদের জমি জবর দখল করে রাখে।
একাধিকবার জমি মাপা হলেও ওই ভূমিদস্যুরা জমির দখল ছাড়তে অনিহা প্রকাশ করে উল্টো হামলা করে দিলারা খানের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। দিলারা খান অভিযোগ করেন ওই সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক খান মারা যান। ওই হামলার বিচার আজও পান নি বলে অভিযোগ করেন দিলারা খান। জমি জমার বিরোধ নিস্পত্তির জন্য জেলা ও দায়রা জজ কোর্টেও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের নির্দেশে জমির সেটেলাইট জরিপ করা হয়। সেখানে তাদের জমির অবস্থান নিশ্চিত হয়। ওই মিমাংসাও মানতে নারাজ সন্ত্রাসীরা। উপরোন্ত দিলারা খানকে তার ঘরবাড়ি ও জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য একের পর এক হুমকী দেয়া হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
দিলারা খানের ছেলে পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত জিয়া উদ্দিন জানান, চাকুরির সুবাদে তারা বাড়ি থাকতে পারেন না। তার বৃদ্ধ মা সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
সান নিউজ/আইআর/এনকে